শুভেচ্ছা টিভি নিউজ ডেস্কঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার মাধ্যমে অভিযানে চোরির ঘটনায় দুজন চোর ও একজন চোরাইকৃত মাল বিক্রেতাকে আটক করে এবং চোরাই কৃত সর্বমোট মূল্য ১,৮৩,৫০০/-মালামাল উদ্ধার করে আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৪জুলাই) কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম ও এসআই মাসুদ আলম ভূইয়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করিয়া
জুড়ি উপজেলার কালিনগর গ্রামের মৃত তৈমুছ আলীর ছেলে আব্দুল কালাম (৩২) ও একই উপজেলার ভুগ তেরা গ্রামের আব্দিল মতিন ধলা মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম (৪২) কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তিমতে সিলেট কোতয়ালী থানাধীন বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেটের ৩৬/৩৭নং দোকানে থেকে আসামী মোঃ মালেক মিয়া (৪২), পিতা-মৃত সফর আলী, সাং-চৌগিরাপাড়া, থানা ও জেলা-নরসিংদী, বর্তমানে: সাং-বারুতখানা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-সিলেট‘কে আটক করা হয় এবং তার দোকান হতে চোরাইকৃত১৩৬ পিছ কেয়া প্রিন্ট শাড়ী, ৫১ পিছ ময়ুরী প্রিন্ট শাড়ী,৪২ পিছ লিপি প্রিন্টের শাড়ী,১১০ পিছ হাফসানা ও সালাহউদ্দিন কোম্পানীর লুঙ্গী, ৫২ পিছ আমানত শাহ লুঙ্গী,ও ৪১ পিছ টাঙ্গাইল শাড়ী (যাহার সর্বমোট মূল্য ১,৮৩,৫০০/-টাকা) উদ্ধার করেন।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত ০১/০৭/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৪.১৫ ঘটিকা হতে সকাল ০৭.০৯ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোরেরা বাদীর দোকানের সাটারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দোকান হতে শাড়ী, লুঙ্গীসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে দোকানের মালিক মোঃ শিবলু মিয়া (৩০),পিতা- মৃত শহিদ মিয়া, সাং-আশিঘর, থানা-ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা-সিলেট থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করিলে কুলাউড়া থানার মামলা নং-০৪(০৭)২০২১ খ্রিঃ রুজু করা হয়। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম ও এসআই মাসুদ আলম ভূইয়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে আব্দুল কালাম (৩২) ও কামরুল ইসলাম (৪২)কে জুড়ি থেকে গ্রেফতার করে পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী
সিলেট কোতয়ালী থানাধীন বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেটের ৩৬/৩৭নং দোকানে উপস্থিত হয়ে আসামী মোঃ মালেক মিয়া (৪২), পিতা-মৃত সফর আলী, সাং-চৌগিরাপাড়া, থানা ও জেলা-নরসিংদী, বর্তমানে: সাং-বারুতখানা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-সিলেট‘কে আটক করতঃ তাহার দোকান হতে বাদীর চোরাই হওয়া ১৩৬ পিছ কেয়া প্রিন্ট শাড়ী, ৫১ পিছ ময়ুরী প্রিন্ট শাড়ী, ৪২ পিছ লিপি প্রিন্টের শাড়ী, ১১০ পিছ হাফসানা ও সালাহউদ্দিন কোম্পানীর লুঙ্গী, ৫২ পিছ আমানত শাহ লুঙ্গী, ৪১ পিছ টাঙ্গাইল শাড়ী (যাহার সর্বমোট মূল্য ১,৮৩,৫০০/-টাকা) উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
আটককৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাদীর দোকানের চোরাই হওয়া মালামাল উদ্ধার হওয়ায় বাদী পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।