আবুল হাশেম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃআম মানেই রাজশাহী।এই খ্যাতি বহু বছরের পুরানো।
রাজশাহীকে বলা হয় আমের রাজধানী।যার খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে।আর রাজশাহীর আম মানেই বাঘা উপজেলা।রাজশাহী জেলার উৎপাদিত আমের অর্ধেক উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়।প্রতি বছর এ উপজেলায় প্রায় এক লাখ মেট্টিক টন আম উৎপাদন হয়। বর্তমানে বাঘা উপজেলার আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে সুদূর যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছি।গত (২৮মে)শুক্রবার ফুড এ্যান্ড ভেজিটেব্যুল এক্সপোর্ট এসোসেয়শনের ব্যবস্থাপনায় কারিতা কে আইএফসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাঘা উপজেলার কন্টাক্ট ফার্মার এসোসিয়শনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম (ছানা) কাছ থেকে পাকুড়িয়া বাজার হইতে তিন টন ক্ষিরসাপাত আম ক্রয় করে এ বছরের প্রথম চালান যুক্তরাজ্যে পাঠিয়েছে।সোমবার (৩১মে)দ্বিতীয় চালানও গেল ইংল্যান্ডে।
বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়,আম চাষ কঠিন হলেও আমে যাতে কোন প্রকার পোকার আক্রমণ না ঘটে এ জন্য আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা ‘ফুট ব্যাগিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে আম চাষ শুরু করেছেন।
আম রপ্তানীর জন্য উপজেলায় বাছাইকৃত ২০ জন চাষিকে আম রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে।উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকারক রাসায়ন মুক্ত আম ঢাকায় বিএস টি আই ল্যাবে পরিক্ষা করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
কন্টাক্ট ফার্মার এসোসিয়শনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ছানা জানান,মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত মৌসুমে আমরা বিদেশে আম পাঠানো সম্ভব হয়নি।তার আগে(২০১৯) বছর আমরা আম বিদেশে রপ্তানি করেছি।এ বছর চাষিরা ঠিকমত বিদেশে আম পাঠাতে পারলে আরও উৎসাহী হবেন।ফলে দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
আম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাঘায় আমের জন্য কোন প্যাকেজিং হাউজ নেই উল্লেখ করে বলেন,এই আম যাবে ঢাকার প্যাকেজিং হাউজে।এ ভাবে যেতে যেতে কিছু আম নষ্ট হয়ে যায়।
আমের গুনগত মান কমে যেতে পারে।
তাই বাঘা থেকে আম প্যাকেজিং করে আকাশ পথে সরাসরি ঢাকায় পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
কৃষি অফিসার সফিউল্লাহ সুলতান জানান, বাঘা উপজেলায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আম চাষ করা হয়েছে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লক্ষ মেট্রিক টন।এ বছর বিদেশে ৩০০ টন আম রপ্তানির পরিকল্পনা হয়েছে।গত বছর(২০২০)এখান থেকে কোন আম রপ্তানি হয়নি।তবে তার আগের বছর (২০১৯)বাঘা থেকে ৩৫ টন আম রপ্তানি হয়েছিল বিদেশে।
আবুল হাশেম