কেশবপুর প্রতিনিধি
কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগ অফিস ও নৌকার কর্মীদের বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৭৬৪৪ ভোট পেয়ে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মুনজুর রহমান বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দি চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া মনি পেয়েছেন ৩৯৫৯ ভোট । ৫ জানুয়ারি রাতে বিজয়ী চেয়ারম্যানের নেতা-কর্মীরা হেলমেট পরে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটর সাইকেল যোগে ৩নং নারায়নপুর-বেতীখোলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধান করেছে। এসময় তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের খুজতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা সুফলাকাটি গ্রামের নৌকার কর্মী ডাক্তার ইকরামুল হাসানের বাড়ি ভাংচুর করে আতংক সৃষ্টি করে এবং ডাক্তার ইকরামুল হাসান ও তার পূত্রকে খুজতে থাকে। হেলমেট বাহিনীর ভাংচুরে নারী ও শিশুরা দিকবিদিক ছুটতে থাকে।
এছাড়াও ঐ রাতে হেলমেট বাহিনীর জহুরুল মাষ্টারের মৎস্য ঘেরে সেচকাজে থাকা ৩টি স্যালো মেশিন ও মেশিনের পাইপ ভাংচুর করে ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় হেলমেট বাহিনী সেখানে অগ্নিসংযোগ করে উল্লাশ করে।
এব্যাপারে সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া মনি জানান, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মুনজুর রহমান বিজয়ী হয়ে ৩নং নারায়নপুর-বেতীখোলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধান করে। নৌকার কর্মীদের বাড়ি ভাংচুর কওে আতংক সৃষ্টি করে। এমনকি নৌকার ভোট করায় জহুরুল মাষ্টারের ৩টি স্যালো মেশিন এবং স্যালো মেশিনের পাইপ ভাংচুর কওে আগুন ধরিয়ে দিয়ে উল্লাশ করে।