বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঘোষণা :

কেশবপুরে শীতের মধ্যো জমে উঠেছে ব্যাড-মিন্টন খেলা

এনামুল কবির সবুজ বার্তা কহ্মঃ শীতে যেমন কম্বল লেপ কাথা প্রধান অনুষঙ্গ তেমনি আরও এক অনুষঙ্গ হলো ব্যাডমিন্টন। শীতের শিরশির হাওয়ার আগমনী বার্তা হলো গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে ব্যাডমিন্টনের কোর্ট। নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে খেলাটির প্রতি প্রবল আগ্রহ জানান দেয় শীত আর ব্যাডমিন্টন যেন একই সুঁতোয় গাঁথা।

তেমনি ভাবে যশোরের কেশবপুর উপজেলার গড়ভাংগা মাদারডাংগা গ্রামে জমে উঠেছে শীতের সন্ধ্যায় এই ব্যাডমিন্টন খেলাটি। চিত্র খুব পরিচিত গ্রামে বাড়ির আঙিনা, জমিই হয়ে ওঠে মৌসুমি এই খেলার প্রাণকেন্দ্র। শহুরে জীবনের ব্যস্ততার পর শুকনো মুখে অফিস ফেরত ব্যক্তিও র‌্যাকেট হাতে নেমে পড়েন অলিতে-গলিতে ব্যাডমিন্টনের কোর্টে। শীতের হিমেল বাতাসে কাঁপতে কাঁপতে ব্যাডমিন্টন কোর্টে এসে একবার হাতে র‌্যাকেট উঠিয়ে শুরু করতে পারলেই হলো। কোথায় যায় শীত, কোথায় যায় জড়তা, সন্ধ্যার পরপরই মৌসুমি খেলোয়াড়দের পদচারণে জমে ওঠে এসব ব্যাডমিন্টনের কোর্ট গুলো। কোথাও কোথাও খেলা চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। রাতের নিস্তব্ধতা গ্রাস করে ফেলে র‌্যাকেট আর ফেদারের শব্দে।

শহরাঞ্চলেই এই খেলার প্রবণতা সবেচেয়ে বেশি। ঝামেলাহীন এবং অল্প পরিসরে এর আয়োজন সম্ভব বলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পরিধি। আর তাইতো শীতকাল এলেই ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে যায় সারা দেশে। খেলার নাম ‘ব্যাডমিন্টন’ হলেও চর্চাটা ‘ব্যাড মানে খারাপ’ নয়।ব্যাডমিন্টন ছাড়া যেন শীত জমেই না আজকাল শীত এলেই তরুণদের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় ব্যাডমিন্টন খেলার। গ্রাম কিংবা শহর সবখানেই হিড়িক পড়ে যায় খেলাটির। গ্রামে বড় মাঠেই কোর্ট কেটে শুরু হয় খেলা। কিন্তু শহরে তেমন মাঠই না থাকলেও থেমে থাকেনা খেলা। তেমন মাঠ না থাকায় রাস্তার মাঝে বা গলির রাস্তায় কোর্ট কেটে চলে খেলাটি।

এ সম্পর্কে খেলোয়ার ইকবল হোসেন বলেন, খেলার কোর্ট কাটতে বাঁশসহ খরচ পড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। প্রতিটা কোর্টের লাইটের জন্য খরচ হয়েছে আরও এক হাজার টাকার মতো। নিজেরাই নেট কিনেছি। র‌্যাকেট যে যারটা নিয়ে আসে। তবে বাজারে র‌্যাকেট পাবেন তিনশ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায়। আর প্রতিদিন খেলার জন্য ফেদার বা কর্ক তো লাগবেই। পাড়ার দোকানগুলোতে প্রতিটি ফেদারের দাম পড়বে ষাট থেকে একশ বিশ টাকা। আমরা কেশবপুর খেলাঘর পাইকারি মার্কেট থেকে বেশি করে কিনে নিয়ে আসি। প্রতিটি কোর্টে এক সঙ্গে চারজনের বেশি খেলতে পারে না বলে অধিকাংশকেই কোটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। একদলের খেলা শেষ হতে সঙ্গে সঙ্গেই চলে আসে আরেক দল খেলার জন্য। কখনও হোপ বাই নীল, আবার কখনও হোপ বাই টেন শব্দে মুখরিত খেলার মাঠ। ‘থার্টিন হোপ’ বা ‘ফোরটিন লাস্ট’, কলআপের পর পরই দেখা যায় অন্যদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা।

একই গ্রামের শিমুল হোসেন বলেন, প্রতি শীতেই আমি বড়ো ভাইদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করি। সকলে কর্মশেষে সন্ধ্যার পর নিজেদের অবসরে রাখেন খেলার জন্য। শীত তাড়াতে এই খেলার জুড়ি নেই। নিয়মিত খেললে শারীরিক ফিটনেস বাড়ে। আমরা সবসময় খেলার সুযোগ পাই না। শীতে স্কুলে পরিক্ষা শেষ তাই লেখাপড়ার চাপটা একটু কম। বাবা-মার অনুমতি নিয়েই চলে আসি ভাইদের সাথে খেলতে। এই খেলাটি করতে আমার খুব ভালো লাগে রাতে লাইটের আলো মুখরিত চারিদিক মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের খেলা উপভোগ করেন সাধারণ মানুষ বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা