মোঃ কামাল হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১০নং সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মারপিট ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার সময় এঘটনা ঘটে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক এনামুল হাসান বাদী হয়ে,মেম্বার প্রাথীসহ দুইজনের নাম উল্লেখ্য পূর্বক অজ্ঞাত ৪-৫জনের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কান্তা গ্রামের মোঃ ইমান আলী শেখের পূত্র দৈনিক অর্থ নীতির কাগজের উপজেলা প্রতিনিধ ও সেভেন্টি ওয়ান প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এনামুল হাসান নাইম(২৫) ঘটনার দিন স্থানীয় জাহানপুর বাজারে কাচামালের দোকান সংলগ্নে উপজেলার ১০নং সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জাহানপুর গ্রামের মৃত- আঃ জব্বার সরদারের পুত্র মোঃ মজিবর রহমান (৪৭) ফ্যান মার্কা প্রতীক মেম্বার প্রাথী ও তার ভাই আতিয়ার রহমন (৩৮) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন ঘটনা স্থানে বাশের সাথে বৈদ্যুতিক (পাখা) ঝুলিয়ে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চালু রেখে প্রচারণা চালায়। যা নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন হওয়ায় বাদীসহ অন্যান্য সাংবাদিক বন্ধুরা ছবি তুলতে গেলে, ওই প্রাথী বাদীকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ ও তার সাথে থাকা সবাই বাদীকে কিল ঘুসি মারতে থাকে এবং বাদীর হাতে থাকা একটি টার্চ মোবাইল ফোন কেঁড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে যার মূল্য ১৫হাজার টাকা এইসময় বাদীর সাথে থাকা সাংবাদিকগণ এগিয়ে এসে বাদীকে রক্ষা করেন। আসামীরা যাওয়ার সময় হুমকি দেয়, এবিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে খুন জখম করার ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে। এবিষয়ে সাংবাদিক এনামুল হাসান নাইম বলেন, আমি সহ আমার সাথে থাকা সাংবাদিক বন্ধুদের কোন অপরাধ ছিলোনা ওই প্রার্থী নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন করছিলো আমি দায়িত্ব পালনের জন্য ছবি তুলতে গেলে তারা আমার উপরে হামলা করে। এবিষয়ে মোঃ মজিবর রহমানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমার মার্কা (ফ্যান) টানানো নিয়ে ছোট খাটো একটু তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটেছে এই বিষয় নিয়ে একটা অভিযোগ হয়েছে বলে আমি শুনেছি এর বেশি আমি কিছু জানিনা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।