নাসির উদ্দিন নয়ন স্টাফ রিপোর্টার যশোর:
যশোরে শ্রমিকদের বৃহৎ সংগঠন যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং-খুলনা ৪৬২) এর নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এখনো পর্যন্ত তিনটি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করেছে। একারনে কয়েকটি স্পট ভোটার শ্রমিকদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে।
যশোর জেলার বিভিন্নঅঞ্চল ছাড়াও সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ায় রয়েছে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক ভোটার। এই ভোটার সংখ্যা এবার প্রায় তিন হাজার দাড়াবে। কেননা সাধারন সভার তারিখ আগামী ১৮ জুন। যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সভায় ভোটার তালিকা চ‚ড়ান্তহবে। এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি প্রকাশ হবে সেখানে। ধারনা করা হচ্ছে ২০০ থেকে ৭০০ ভোটার এবার বাড়তে পারে। সাধারন সভায় পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হবে। একই সাথে প্রাথমিক ভোটার সংখ্যা প্রকাশ হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন কমিটির সভাপতি শ্রী বিশ্বনাথ ঘোষ বিষু ও সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটির একটি পদ নতুন। এখনো পর্যন্ততিনটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিতে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ প্যানেল গুলো হচ্ছে ১) শ্রী বিশ্বনাথ ঘোষ- মিজান পরিষদ ২) জুলু-মোহাম্মদ আলী পরিষদ ৩) মনোরঞ্জন-রফিক পরিষদ। তিন প্যানেল এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। তবে সকল প্যানেলের প্রাথমিক নাম চ‚ড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসব পরিষদের তালিকাভ‚ক্ত ভোটার শ্রমিক প্রার্থীরা।
‘বিষু-মিজান’ পরিষদের নীতি র্নিধারক শ্রী বিশ্বনাথ ঘোষ বিষুও মিজানুর রহমান মিজান বর্তমানে সভাপতি-সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারন শ্রমিক ভোটাররা ও প্যানেলের দায়িত্বশীল প্রার্থী জানানা, এই প্যানেলে অন্তভ‚ক্ত হয়েছেন মালঞ্চীর শুকুর আলী ও রায়পাড়ার বাবুওরফে পলিথিন বাবু। তবে তাদের প্রার্থীতার পদ এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রী বিশ্বনাথ ঘোষ বিষুজানান, কাঁঠাল জাহাঙ্গীর একটি আইন যা কালো আইন বলছে তা কালো নয়। সেই আইনটি ২০১৫ সালে পাশ হয়েছে। তখন ক্ষমতায় ছিল জুলু-মোহাম্মদ আলী পরিষদ। সেই আইনটি সকল সদস্যের সম্মতিতেই পাশ হয়েছিল। তাতে কাঁঠাল জাহাঙ্গীরেরও সম্মতি ছিল। আইনটি হচ্ছে কার্য্যকরী পরিষদে অনির্বাচিত শ্রমিক ে ভাটার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে পারবেন না। ‘বিষু-মিজান’ পরিষদ সাজানোর কাজ চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রার্থীদের চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে।
‘জুলু-মোহাম্মদ আলী’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী জুল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। এরাও যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কার্য্যকরী পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন। জুল হোসেন ও মোহাম্মদ আলী জানান সাধারন সভার আগেই তাদের পরিষদের তালিকা চ‚ড়ান্ত হবে। তবে আরো কয়েকটি দিন দরকার হবে।
‘মনোরঞ্জন-রফিক’ পরিষদে পরিবর্তন হয়েছে কিছু। শ্রী মনোরঞ্জন এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী। সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে এই প্যানেলের নতুন সমীকরণ হয়েছে। আর সেটি হচ্ছে আইনের বাধ্য বাধকতায় কাঁঠাল জাহাঙ্গীর সাধারন সম্পাদক পদ থেকে সরে অর্থ সম্পাদক বা ক্যাশিয়া পদে নির্বাচন করবেন। এই প্যানেলের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন রফিকুল ইসলাম ওরফে আওয়াজ রফিক।
তিন বছর পর নির্বাচন তাই সাধারন শ্রমিক ভোটাররা খুব উৎফল্ল। দিন রাত তাদের ফুর্তি প্রকাশ হচ্ছে যশোর শহর, শহরতলী ও বিভিন্ন থানার কয়েকটি বাজার স্পটে। এর মধ্যে রয়েছে, রেলগেটস্থযশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পুরাতন কার্যালয় বেনাপোল স্ট্যান্ড বটতলা, রাশেদের চায়ের দোকান, আমবাবুর চায়ের দোকান, ভাবীর চায়ের দোকান, বারিকের চায়ের দোকান, তেতুলতলার ফরহাদের চায়ের দোকান, মোকাররমের চায়ের দোকান, বাবুর চায়ের দোকান, রায়পাড়া মাদ্রাসা রোডস্থযুবলীগ কার্যালয় (সাবেক সেবাব্রত চেতনা পরিষদ), শঙ্করপুরস্থকেন্দ্রীয় বাসা টার্মিনাল, চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার সকল চায়ের দোকান, পুলেরহ্টা, রাজগঞ্জ বাজার, বাগেরহাট, ঝিকরগাছা, নাভারন, বেনাপোল, বাঁগাচড়া, কলারোয়াসহ অন্তত ৩০টি স্পট এখন জমজমাট। এসব সাধারন শ্রমিক ভোটাররা নানা জল্পনা কল্পনা প্রকাশ করছেন। এসব স্পটে হচেছ বর্তমান ও সাবেক নেতাদের কৃচ্ছি সাধন। শ্রমিক ভোটারদের মুখ আলগা আর তাই নানা মুখ রোচক কাহিনী শোনা যাচ্ছে এসব স্পটে।
যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন শ্রমিক ভোটাররা জানান, সাধারন সভা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক কিছু ‘পিছনের কারিগর’ আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এরা দিনে রাতে গভীর রাত পর্যন্ত শ্রমিকদের নিয়ে মিটিং সেটিং করছেন। তবে এটিট এবারই নতুন নয়। আগেও শ্রমিক নেতৃত্বকে এসব রাজনৈতিক, প্রভাবশালী মহল, মাস্তান-ক্যাডার, সীমান্ত পরিবহন বাস মালিক সমিতির নেতৃত্বের জ্বালাতন মেনে নিয়ে নির্বাচন ও কার্য্যক্রম পরিচালনা করতে হয়েছে। এবারো ব্যতিক্রম নয়।