শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঘোষণা :

কেশবপুরে করোনায় ৪৪১ জন আক্রান্ত এবং ২০ জনের মৃত্যু

 

 

সোহেল পারভেজ , কেশবপুর

যশোরের কেশবপুরে মহামারী করোনা এ প্রযন্ত সর্বমোট ৪৪১ জন আক্রান্ত এবং ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধীরে ধীরে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার পল্লী চিকিৎসকদের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রত্যক ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে চলছে জরুরী আলোচনাসভা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ দিনে নতুন করে ১৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় সর্বমোট আক্রান্ত ৪৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ জন । এর মধ্যে অধিকাংশ গ্রামে বসবাস করেন।

এর মধ্যে নারী ৭জন ও পুরুষ ১৩ জন। এরমধ্যে জুন হতে জুলাই ১৫ পর্যন্ত দেড় মাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ জন। গত বছরে ৪ জন। করোনায় মৃত্যুবরণকারীরা হলেন, কালিয়াারাই গ্রামের মাস্টার নুরুল ইসলাম , মজিদপুর গ্রামের জাহিদা বেগম, শহরের সাহাপাড়ার রামদুলাল সাহা ,আলতাপোল গ্রামের আলী হাসান, কলাগাছী গ্রামের আলমগীর কবীর, বাগদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান, কন্দর্পপুর গ্রামের ফজিলা বেগম, কন্দর্পপুর গ্রামের আব্দুল মালেক সরদার, ত্রিমোহিনী গ্রামের আলেয়া বেগম, গোপসেনা গ্রামের আজিজ মোড়ল, ত্রিমোহিনী গ্রামের মশিযার রহমান, সন্যানগাছা গ্রামের সিরাজ উদ্দীন, মূলগ্রামের সুধীর শীল, গোপসেনার সরস্বতী, সাহাপাড়ার শান্তনা বিশ্বাস, বেলকাঠির রোজিনা, আওলগাতির মসিরন বেগম, পাত্রপাড়ার আবু হোসাইন সরকার, ব্রক্ষকাঠির আনছার আলী এবং নতুন মূলগ্রামের মাহমুদ উদ্দীন।

এ ছাড়াও চলতি মাসে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, ১৫ জুলাই পর্যন্ত করোনায় কেশবপুরে মোট ২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গ্রাম পর্যায়ে মানুষের সাধারনত একটু সর্দি, কাশি, জ্বর হলেই পল্লী চিকিৎসকের কাছে যান । সেকারণে ইউনিয়ন পর্যায়ে জরুরী আলোচনাসভায় পল্লী চিকিৎসকদের বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তাদের কাছে আসা জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা, পল্লী চিকিৎসকরা কিভাবে সাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য রোগী দেখবেন এবং জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীকে প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কি কি পরামর্শ প্রদান করবেন। সর্বোপরি কোনভাবেই যাতে তারা এ সকল রোগীকে কোভিড টেস্ট করার পরামর্শ ছাড়া নিজেদের কাছে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে যাতে কালক্ষেপণ না করেন সেজন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা