বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঘোষণা :

ফলের রাজা আমের পুষ্টিগুণ।

শুভেচ্ছা টিভি নিউজ ডেস্কঃ

আম বেশ মজার একটি ফল। জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও আম খুবই পছন্দের এবং স্বাদের ফল। দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। কাঁচা হউক আর পাকা হউক আম মানব দেহের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। তবে অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমের গুনাগুন অনেক বেশি। পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো৷ আম কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, শরীরের জন্য এর কোনো নেতিবাচক দিক নেই বললেই চলে। চলুন জেনে নেই কাঁচা ও পাকা আমের নানান জানা ও অজানা গুনাগুন।

ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা আম খেতে পারেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
শরীর ফিট রাখে, দেহের শক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ক্ষয়রোধ করে।
উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন এর উপস্থিতি যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।
লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম বেশ উপকারী।
সন্তান সম্ভবা নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী।
কাঁচা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খেতে পারেন।
কাঁচা আম মাড়ির জন্য ভালো, দাঁতের ক্ষয় এবং ।
কাঁচা আম দেহের শক্তি শরীরের এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অন্য দিকে পাকা আম আমাদের ত্বক কে সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।
আম চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
পাকা আমে খনিজ লবণের উপস্থিতি দাঁত, নখ, চুল ইত্যাদি মজবুত করতে সাহায্য করে।
কাঁচা আমের রস, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এবং মুখের ব্রন দূর করতে সাহায্য করে।
পাকা আম ত্বকের বিশেষ করে মুখের ও নাকের উপর জন্মানো ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে।
দেহে নতুন রক্ত তৈরি, রক্তপাত রোধ করা এবং রক্ত পরিস্কারে সহায়তা করে।
আম শরীরের রক্তে কোলেস্টেলের মাত্রা কমায় এবং আমাদের হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতির কারনে শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। বিশেষ করে স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন প্রোস্টেট ক্যান্সারের মত মারাত্মক ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আমের আঁশে কিছু উপাদান যেমন- ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম । আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ ও সবল রাখে। আমে রয়েছে বেটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম। আমে প্রচুর পরিমাণে এসিড থাকে যেমন- টারটারিক এ্যাসিড, ম্যালিক এ্যাসিড ও সাইট্রিক এ্যাসিড। ভিটামিন এ, প্রোটিন সহ আরও অন্যান্য উপাদান।

সারাদিনের কাজ শেষে কাঁচা আমের শরবত খেতে পারেন
পাকা ও কাঁচা আমের জুশ খেতে পারেন গরমে
রমজানে ইফতারিতে কাঁচা আমের শরবত রাখা যেতে পারে
আমের সিজনে প্রতিদিন এক কাপ পরিমান মা খেতে পারেন
অতিথি আপ্যায়নেও আম রাখতে পারেন
কাঁচা আম রান্নায় তরকারীতে দিয়ে খেতে পারেন

কিভাবে কাঁচা আমের শরবত বানাবেন এখানে পড়ে নিন। পাকা আমের ক্ষেত্রে খোলস ছাড়িয়ে লম্বা পিস করে কেটে ব্ল্যান্ডারে দিয়ে শরবত / জুশ করে খেতে পারেন, প্রয়োজনে দুধ বা চিনি মিক্স করতে পারেন। যেহেতু পাকা আম এমনিতেই মিষ্টি থাকে তাই চিনি ব্যবহার না করাই উত্তম।

সুপার শপে, ইকমার্সে, পাইকারি ও খুচরা বাজারে। ভিন্ন ভিন্ন জাতের আমের মূল্য ভিন্ন, ধরুন ৫০/৮০/১০০ কেজি প্রতি এর মধ্যেই সব ধরণের আম পাওয়া যায়। পরিমানে বেশি কিনলে হয়তো কিছুটা কমে পাওয়া যায়। চাইলে উত্তর বঙ্গ রাজশাহী, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর থেকেঅ আম সংগ্রহ করতে পারেন কুরিয়ারের মাধ্যমে।

সারাবছর সংরক্ষণের জন্য পাকা আম গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে লম্বা লম্বা করে টুকরা করে পলিব্যাগে মুড়িয়ে বা প্লাস্টিক বাটি করে ডিপ ফ্রীজে সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত আমের এই পাল্প জুস বা মিল্কশেক তৈরি করে ছোট বড় সবাই খেতে পারবেন। প্লাস্টিকের বাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক বক্স ব্যবহার করা উত্তম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা